October 24, 2024, 10:19 am
মনির হোসেন জীবন – হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১১ পিস স্বর্ণবারসহ এক সেবা প্রদানকারী কর্মীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালয়ন (এপিবিএন) । উদ্বারকৃত সোনার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।
এপিবিএন পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রাজু (২৭)। লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মজিবুর রহমানের পুত্র। সে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবা প্রদানকারী শুভেচ্ছা’র কর্মী বলে জানা গেছে।
আজ বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে বিমানবন্দরের ১ নাম্বার লাগেজ বেল্টের কাছে অ্যারাইভাল কনকোর্স হলের সামনে থেকে ১১ পিস সোনার বার সহ শুভেচ্ছা’র কর্মী মো: রাজু (২৭)কে হাতেনাতে আটক করা হয়।
তিনি জানান, এসময় তার কাছ থেকে ১১টি সোনার বার পাওয়া যায়। প্রতিটি সোনার বারের ওজন ১১৬ গ্রাম করে। যার মোট ওজন ১২শ ৭৬ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমুল্য ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।
মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, শুভেচ্ছার সিনিয়র কাস্টমার রিপ্রেজেনটেটিভ মো: রাজু’র অযাচিত মুভমেন্ট এবং প্রশ্নবিদ্ধ আচরণে সন্দেহ হয় বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা দলের। রাজুকে ১ নাম্বার লাগেজ বেল্টের কাছে টয়লেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। একই সাথে সেখানে যাত্রীদের সাথে কোন কিছু বিনিময় করে বলেও সন্দেহ করা হয়। পরবর্তীতে অ্যারাইভাল কনকোর্স হলের প্রক্ষালন কক্ষের সামনে থেকে আক সকালে তাকে আটক করা হয়। এসময় তাকে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করা হয়। তল্লাশী শেষে কালো রং এর পাওয়ার ব্যাংকের ভেতর থেকে ১০ টি এবং রাজুর পকেট থেকে ১টি সোনার বার পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানান, দুবাই থেকে আসা যাত্রীর কাছ থেকে এসব সোনা বার নিয়েছেন তিনি। এর বিনিময়ে তাকে খুশি করে দেয়া হবে বলে জানায় সোনা পাচারকারীরা। মোবাইলে সোনা পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে রাজুর সাথে যোগাযোগ করে, কাজ শেষে তাকে পাওনা বুঝিয়ে খুশি করে দেয়া হবে বলে কথা দেয় পাচারকারীরা। বিগত আড়াই বছর ধরে সে বিমানবন্দরে কাজ করে আসছিল।তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের এবং তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।